November 13, 2025, 3:54 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে অবরোধ/সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে রাজবাড়ীতে থেমে থাকা বাসে কুষ্টিয়াগামী এসবি পরিবহনের ধাক্কা, আহত ১৫ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি দুর্নীতির মামলা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়লো আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে

লুট হওয়া ১,৩৬৬ পুলিশি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, নির্বাচনের আগে বাড়ছে শঙ্কা

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত এক বছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ও সরকার পতনের পর দেশের শত শত থানায় হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রাগারে ভয়াবহ লুটতরাজ চালায়। সেদিন পুলিশের বহু সদস্য জীবন বাঁচাতে থানাঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সুযোগে লুট হয় প্রায় ৬ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ লাখের বেশি গোলাবারুদ—যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
উদ্ধারের অগ্রগতি ও বিপুল শূন্যতা/
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৩টি অস্ত্র এবং ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭টি গুলি। অর্থাৎ এখনও ১,৩৬৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি গুলি উদ্ধার হয়নি। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০% উদ্ধার করেছে; তবে বাকি ২০% নির্বাচনের আগে জব্দ করার লক্ষ্য রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তা করা ব্যক্তিদের জন্য শিগগিরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। তবে পুলিশের ভেতরেই আশঙ্কা—যদি নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র উদ্ধার না হয়, তাহলে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অবৈধ অস্ত্রের ছায়ায় অপরাধ বৃদ্ধি/
উদ্ধার না হওয়া এই অস্ত্র ইতোমধ্যে ভয়ঙ্কর অপরাধে ব্যবহার হয়েছে। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গুলিবর্ষণ, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা ইসলাম হত্যাকাণ্ড, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ছিনতাই—সব ক্ষেত্রেই লুট হওয়া পুলিশি অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার এবং চাঁদাবাজিতে এসব অস্ত্রের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
প্রভাব: শুধু নিরাপত্তা নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও হুমকি/
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এত বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অপরাধীদের হাতে থাকলে তা শুধু ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াবে না—বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও নড়বড়ে করে তুলতে পারে। অতীতে নির্বাচনপূর্ব সহিংসতার বড় অংশেই অবৈধ অস্ত্রের ছায়া ছিল; এবার সেই অস্ত্রের উৎস যদি হয় সরাসরি পুলিশের অস্ত্রাগার, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
পুলিশের চ্যালেঞ্জ: সময় ফুরিয়ে আসছে/
পুলিশ প্রতিদিন অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালালেও সময় ফুরিয়ে আসছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এসব অস্ত্র অবৈধ বাজারে ঘুরে বেড়ানোয় সেগুলো চিহ্নিত ও উদ্ধার করা এখন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক অস্ত্র দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা সরাসরি সতর্ক করেছেন—“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে হলে লুট হওয়া সব অস্ত্র অবিলম্বে উদ্ধার করতে হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net